লাইলাতুল ক্বদর”র ফযিলতের কারণ কী?

 

লাইলাতুল ক্বদর”র ফযিলতের কারণ কী?


রমাদ্বান মাস অন্যান্য মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। কেননা, এ মাসে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। আর রমাদ্বান মাসের লাইলাতুল্ ক্বদর হাজার মাস হতে উত্তমও এ জন্যই যে, এ রাত্রিতে কুরআন নাযিল হয়েছে। মহান আল্লাহ্ তা‘আলা ফরমান,

شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ

-‘রমাদ্বানের মাস, যাতে অবতীর্ণ হয়েছে কুরআন

।’ ২০

➥২০ - সূরাহ্ আল-বাক্বারাহ্ : ১৮৫



অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে,



إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ- وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ- لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ



-‘নিশ্চয় আমি লাইলাতুল্ ক্বদরে কুরআন অবতীর্ণ করেছি। আপনি কি জানেন, লাইলাতুল্ ক্বদর কি? লাইলাতুল্ ক্বদর সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’ ২১


➥২১ - সূরাহ্ আল-ক্বদর: ১-৩



অর্থাৎ কুরআন কারিমের কারণেই রমাদ্বান মাস ও লাইলাতুল ক্বদরের এমন মহান মর্যাদা ও মাহাত্ম্য। আবার কুরআন কারিম সম্পূর্ণটা একসাথে এ ক্বদরের রাতে নাযিল হয়েছে প্রথম আসমানে। তাই অন্য বাকি ৬টি আসমানের মধ্যে এ আসমানের সম্মান সবচেয়ে বেশি। আল্লামা হাক্কী বলেন:



وفيه اشارة الى أن بيت العزة اشرف المقامات السماوية بعد اللوح المحفوظ لنزول القرآن منه اليه ولذلك قيل بفضل السماء الاولى على اخواتها لائنها مقر الوحى الربانى وقيل لشرف المكان بالمكين



-“কুরআন নাযিল হওয়ার কারণে ‘বাইতুল্ ইজ্জত’ লাওহে মাহফুযের পরে সবচেয়ে মর্যাদাবান আসমানি স্থান। আর এ কারণেই বলা হয় যে, প্রথম আসমানের মর্যাদা অন্যান্য সকল আসমান থেকে শ্রেষ্ঠ। কেননা, তা ওহিয়ে রব্বানির অবস্থান স্থল। কথিত আছে যে, স্থানের সম্মান তার বাসিন্দার দ্বারা।” ২২


➥২২ - আল্লামা হাক্কী, রুহুল বায়ান, সুরা ক্বদর, পারা- ৩০



‘যখন এই জন্য রমাদ্বান মাস অন্যান্য সকল মাস হতে শ্রেষ্ঠ যে, এর মধ্যে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে এবং ক্বদরের রাত্র এই জন্য হাজার মাস হতে উত্তম যে, এতে কুরআন নাযিল হয়েছে; তাহলে যেই পবিত্র সত্ত্বার উপর কুরআন নাযিল হয়েছে সেই মাহবুব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সকল সৃষ্টি থেকে শ্রেষ্ঠ। কোন মাস রমাদ্বানের মত নয়, অনুরূপ কোন ফেরেশতা অথবা মানুষ কিংবা অন্যকোন সৃষ্টি হুযুর পাকের মত নয়। রমাদ্বানে কুরআনের শব্দসমূহ নাযিল হয়েছে। আর হুযুর পাকের কান শরিফে কুরআনের শব্দসমূহ, মস্তিষ্ক শরিফে কুরআনের অর্থ বা ভাবসমূহ এবং অন্তর মুবারকে কুরআনের ভেদসমূহ নাযিল হয়েছে। মহান রব ফরমান- نزله على قلبك (আপনার অন্তরে তা অবতীর্ণ হয়েছে)। কুরআনের নক্বশা বা অক্ষরসমূহের স্থান কাগজ, শব্দসমূহের স্থান কান ও জবান। যাতে কুরআনের নকশা থাকে এমন কাগজকে যখন কোন অপবিত্র হাত স্পর্শ করতে পারে না, তখন কিভাবে সেই পবিত্র মুসত্বফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হৃদয় পর্যন্ত অপবিত্রতা ও মন্দ ধারণা পৌঁছতে পারে, যে হৃদয় কুরআনের ভেদসমূহের মঞ্জিল!لا يمسه الا المطهرون -পবিত্রতা ছাড়া কেহই তা স্পর্শ করতে পারে না।’ ২৩


➥২৩ - আল্লামা নঈমী, তাফসীর-ই-নঈমী, খন্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২১০)।

_____________

লাইলাতুল ক্বদর : ফযিলত ও আমল

গ্রন্থনা ও সংকলন: মুফতি মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন আন-নাজিরী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন