লাইলাতুল ক্বদর কত তারিখ?

 

লাইলাতুল ক্বদর কত তারিখ?


হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এ লাইলাতুল ক্বদর। এর ফযিলত, মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ জানলাম। এখন আমরা জেনে নেব, আসলে এ রাত্রটি কোন রাত্র? এ ব্যাপারে উলামায়ে কিরামের মাঝে অনেক মতামত পরিলক্ষিত হয়।


 লাইলাতুল ক্বদরের তারিখ নিয়ে মতভেদের কারণ:

লাইলাতুল ক্বদরের তারিখ নিয়ে উলামায়ে কিরামের মধ্যে মতানৈক্যের কারণ হলো, রাসুল পাক এক হাদিসে বলেছেন যে, এর তারিখটি তাঁকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট করে তারিখটির কথা তিনি এ হাদিসে বলেন নি। হাদিসটি হলো: “আবু সা‘ঈদ খুদরি রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে রমযানের মধ্যম দশকে ই‘তিকাফ করি। তিনি বিশ তারিখের সকালে বের হয়ে আমাদেরকে সম্বোধন করে বললেন: আমাকে লাইলাতুল ক্বদর (-এর সঠিক তারিখ) দেখানো হয়েছিল, পরে আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতে তার সন্ধান কর। আমি দেখতে পেয়েছি যে, আমি (ঐ রাতে) কাদা-পানিতে সিজদা করছি। অতএব, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে ই‘তিকাফ করেছে সে যেন ফিরে আসে (মসজিদ হতে বের হয়ে না যায়)। আমরা সকলে ফিরে আসলাম (থেকে গেলাম)। আমরা আকাশে হাল্কা মেঘ খন্ডও দেখতে পাই নি। পরে মেঘ দেখা দিল ও এমন জোরে বৃষ্টি হলো যে, খেজুরের শাখায় তৈরী মসজিদের ছাদ দিয়ে পানি ঝরতে লাগল। সালাত শুরু করা হলে আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে কাদা-পানিতে সিজদা করতে দেখলাম। পরে তাঁর কপালে আমি কাদার চিহ্ন দেখতে পাই।” ৪৩


➥৪৩ - সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ২০১৬, হাদিসটি সহিহ



অন্য হাদিসে এসেছে-



عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيُخْبِرَنَا بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ فَتَلاَحَى رَجُلاَنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ‏ خَرَجْتُ لأُخْبِرَكُمْ بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ فَتَلاَحَى فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ فَرُفِعَتْ وَعَسَى أَنْ يَكُونَ خَيْرًا لَكُمْ فَالْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ



-“হযরত ‘উবাদা ইবনুস সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে লাইলাতুল ক্বাদরের (নির্দিষ্ট তারিখ) অবহিত করার জন্য বের হয়েছিলেন। তখন দু’জন মুসলমান ঝগড়া করছিল। তা দেখে তিনি বললেন: আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল ক্বদরের সংবাদ দিবার জন্য বের হয়েছিলাম, তখন অমুক অমুক ঝগড়া করছিল, ফলে তার (নির্দিষ্ট তারিখের) পরিচয় হারিয়ে যায়। সম্ভবতঃ এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমরা নবম, সপ্তম ও পঞ্চম রাতে তা তালাশ কর।” ৪৪


➥৪৪ - সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ২০২৩, হাদিসটি সহিহ)।

_____________

লাইলাতুল ক্বদর : ফযিলত ও আমল

গ্রন্থনা ও সংকলন: মুফতি মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন আন-নাজিরী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন