লাইলাতুল ক্বদরের তারিখ নিয়ে উলামায়ে কিরামের অভিমত:
* ১নং অভিমত: ইমাম বাগাভি বর্ণনা করেন, কেউ কেউ বলেছেন: এ রাতটি রাসুল পাকের সময়কালেই ছিল, পরবর্তীতে তা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এ মতটি গ্রহণযোগ্য নয়। খোদ সাহাবায়ে কিরামই এ মতটি বাতিল করে দিয়েছেন।
* ২নং অভিমত: কারো মতে, বছরের যে কোন রাতই লাইলাতুল ক্বদর হতে পারে। এ অভিমতটিও গ্রহণযোগ্য নয়। কেণনা এর বিপরীতে কুরআনের আয়াত ও সহিহ হাদিস রয়েছে।
* ৩নং অভিমত: ইমাম বাগাভি বলেন, ইমাম আবু রাযিন আল-আক্বিলীর অভিমত হলো- এটি রমাদ্বান মাসের প্রথম রাত্রি।
* ৪নং অভিমত: ইমাম আল-হাসান বলেন, এটি রমাদ্বানের ১৭ তারিখ। বদর দিবসের রাতে। এ দু’টি অভিমতও অত্যন্ত দূর্বল ও গ্রহণযোগ্য নয়।
* ৫নং অভিমত: প্রসিদ্ধ ও সহিহ মত হচ্ছে, এ রাত্রটি রমাদ্বানের শেষ দশকে রয়েছে। নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَيَقُولُ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
-“আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমযানের শেষ দশকে লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধান কর।” ৪৫
➥৪৫ - সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ২০২০, হাদিসটি সহিহ
এ ব্যাপারে সকলে একমত যে, ক্বদরের রজনী রমাদ্বান মাসের শেষ দশকেই রয়েছে। তবে শেষ দশ দিনের কোন্ দিন এ ব্যাপারে নিম্নের মতামতগুলো পাওয়া যায়।
* ৬নং অভিমত: প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য অভিমত হলো-
عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
-“হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তোমরা রমাদ্বানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল ক্বদরের অনুসন্ধান কর।” ৪৬
➥৪৬ - সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ২০১৭, হাদিসটি সহিহ
* ৭নং অভিমত: রমাদ্বানের শেষ ৭ দিনের যে কোন একদিন। রাসুলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরমান: “তোমরা রামাদ্বানের শেষ দশ রাত্রিতে লাইলাতুল ক্বদর সন্ধান করবে। যদি কেউ একান্তুই দুর্বল হয়ে পড়ে, তবে অন্তত শেষ ৭ রাতের ব্যাপারে যেন কোনোভাবেই দুর্বলতা প্রকাশ না করে।” ৪৭
➥৪৭ - সহিহ বুখারি: ২/৭১১; মুসলিম: ২/৮২৩
* ৮নং অভিমত: রমাদ্বানের ২৩, ২৫ ও ২৭ তারিখের যে কোন একদিন। হযরত আবু যার গিফারী বলেন, রাসুলুল্লাহ ২৩ রামাদ্বানের রাত্রিতে আমাদের নিয়ে কিয়ামুল লাইল করলেন রাত্রির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত। এরপর বলেন, তোমরা যা খুঁজছ তা মনে হয় সামনে। এরপর ২৫তম রাত্রিতে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত কিয়াম করলেন। এরপর বলেন, তোমরা যা খুঁজছ তা বোধহয় সামনে। এরপর ২৭তম রাত্রিতে তিনি নিজের স্ত্রীগণ, পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ সবাইকে ডেকে আমাদেরকে নিয়ে প্রভাত পর্যন্ত জামা‘আতে কিয়ামুল লাইল করলেন, এমনকি আমরা ভয় পেয়ে গেলাম যে, সাহরি খাওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। ৪৮
➥৪৮ - তিরমিযি, আস-সুনান: ৩/১৬৯; ইবনু খুযাইমা, আস-সহিহ: ৩/৩৩৭; আহমদ, আল-মুসনাদ: ৫/১৮০; হাদীসটি হাসান-সহিহ
অবশ্য, এ হাদিস থেকে ২৭ তারিখের কথাই বেশি প্রমাণিত হয়।
* ৯নং অভিমত: রমাদ্বানের ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে বেশি গুরুত্ব দিয়ে তালাশ করা। রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমি তোমাদেরকে ‘লাইলাতুল ক্বদর’-এর ব্যাপারে খবর দিতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অমুক এবং অমুক ব্যক্তি বিবাদে লিপ্ত হলো, ফলে সেটা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। আশা করি তোমাদের জন্য তা ভালই হয়েছে। অতএব, তোমরা এটা অনুসন্ধান কর ২৭, ২৯ এবং ২৫ তম রাতে।” ৪৯
➥৪৯ - বুখারি: ২০২৩; মুসলিম: ১১৭৪; তিরমিযি: ৩৩৫১
* ১০নং অভিমত: ২৩ রমাদ্বানের রাত। হযরত আবদুল্লাহ্ বিন উনাইস বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরমান: “আমাকে ক্বদরের রাত দেখান হয়েছিল। অতঃপর তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে ঐ রাতের ভোর সম্পর্কে স্বপ্নে আরও দেখান হয়েছে যে, আমি পানি ও কাদার মধ্যে সিজদা করছি। বর্ণনাকারী বলেন: অতএব, ২৩তম রাতে বৃষ্টি হলো এবং রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সাথে (ফজরের) সালাত আদায় করে যখন ফিরলেন, তখন আমরা তাঁর কপাল ও নাকের ডগায় কাদা ও পানির চিহ্ন দেখতে পেলাম। বর্ণনাকারী বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবন উনায়স রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, তা ছিল ২৩তম রমাদ্বানের রাত।” ৫০
➥৫০ - সহিহ মুসলিম: ১১৬৮
* ১১নং অভিমত: বুখারির ২০১৮নং হাদিসের ভাষ্যে বলা হয়েছে রাতটি ছিল ২১ রমাদ্বানের রাত।
* ১২নং অভিমত: রমাদ্বান মাসের ২৭তম রাত। অর্থাৎ রমাদ্বানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত্র। যেমন হাদিস শরিফে এসেছে:
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا أَبِي أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ أَنَّهُ سَمِعَ مُطَرِّفًا عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ قَالَ لَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ
-“হযরত মু‘আভিয়া ইবনু আবু সুফিয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাইলাতুল ক্বদর সম্পর্কে বলেছেন- লাইলাতুল ক্বদর ২৭তম রাতে।” ৫১
➥৫১ - আবু দাউদ, আস-সুনান, হাদিস নং- ১৩৮৬, হাদিসটি সহিহ
সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য অভিমত:
উপর্যুক্ত সকল হাদিস পর্যালোচনায় যে বিষয়টি আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়, তা হলো- ‘প্রথমে বলা হয়েছে তা রমাদ্বানের শেষ দশকে। এরপর শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিসমূহে। এখন প্রশ্ন থেকে যায় বেজোড় রাত্রিসমূহের নির্দিষ্ট কোন্ রাতে? এ ব্যাপারে রাসুল পাকের সর্বশেষ ফায়সালা হলো- তা ২৭তম রজনীতে। যেমন ৮নং অভিমতে হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে। তবে বিভিন্ন মতামতের হাদিস যেহেতু পাওয়া যায়, সেহেতু আমরা সকল বেজোড় রাতের প্রতিই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত বন্দেগিতে অতিবাহিত করব। তবে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য মত যেহেতু ২৭ তারিখ এবং এ তারিখের ব্যাপারে হাদিসে মারফু‘, সাহাবাগণের আমল ও ইমামগণের বক্তব্য পাওয়া যায় তাই এর উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আমরা আমল করতে চেষ্টা করব। এখন ২৭ তারিখে লাইলাতুল ক্বদও হওয়ার ব্যাপারে আরো কিছু দলিল উপস্থাপন করা হলো।
* সহিহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে:
عَنْ عَبْدَةَ وَعَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ سَمِعَا زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ يَقُولُ سَأَلْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ رضى الله عنه فَقُلْتُ إِنَّ أَخَاكَ ابْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ مَنْ يَقُمِ الْحَوْلَ يُصِبْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَقَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ أَرَادَ أَنْ لاَ يَتَّكِلَ النَّاسُ أَمَا إِنَّهُ قَدْ عَلِمَ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ وَأَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ وَأَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ثُمَّ حَلَفَ لاَ يَسْتَثْنِي أَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ فَقُلْتُ بِأَىِّ شَىْءٍ تَقُولُ ذَلِكَ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ قَالَ بِالْعَلاَمَةِ أَوْ بِالآيَةِ الَّتِي أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا تَطْلُعُ يَوْمَئِذٍ لاَ شُعَاعَ لَهَا
-“রিয ইবনু হুবাইশ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কা‘ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বললাম, আপনার ভাই আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘উদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি গোটা বছর রাত জাগরণ করে- সে ক্বদরের রাতের সন্ধান পাবে। তিনি (উবাই) বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন, এর দ্বারা তিনি এ কথা বুঝাতে চাচ্ছেন যে, লোকেরা যেন কেবল একটি রাতের উপর ভরসা করে বসে না থাকে। অথচ তিনি অবশ্যই জানেন যে, তা রমাদ্বান মাসে শেষের দশ দিনের মধ্যে এবং ২৭তম রজনী। অতঃপর তিনি দৃঢ় শপথ করে বললেন, তা ২৭তম রজনী। আমি (যির) বললাম, হে আবুল মুনযির! আপনি কিসের ভিত্তিতে তা বলেছেন? তিনি বললেন, বিভিন্ন আলামত ও নিদর্শনের ভিত্তিতে- যে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে অবহিত করেছেন। যেমন, সেদিন সূর্য উদয় হবে। কিন্তু তাতে আলোকরশ্মি থাকবে না। ৫২
➥৫২ - সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৬৬৭, হাদিসটি সহিহ
শব্দগত কিছু পার্থক্যসহ হাদিসটি সুনানু আবী দাউদ (১২৪৭) ও তিরিমিযি (৭৯৩)-তেও বর্ণিত হয়েছে। ইমাম তিরমিযি বলেন: হাদিসটি হাসান-সহিহ্।
* একবার হযরত উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সাহাবায়ে কিরামগণকে লাইলাতুল ক্বদর স¤পর্কে প্রশ্ন করলে কিছু সংখ্যক সাহাবি বললেন, তা শেষ দশকের বিজোড় রাতে। তাঁদের মধ্যে রাসুল পাকের চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস বললেন যে, লাইলাতুল ক্বদর শেষ দশকে ৭ম রাত্রিতেই। হযরত উমর তাঁকে প্রশ্ন করলেন যে, কিভাবে জানলেন ৭ম রাত্রি? তখন ইবনু আব্বাস বললেন: আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে প্রিয় সংখ্যা হলো- ৭। যেমন- আসমান ৭ টি, জমিন ৭টি, ৭টি জিনিস দ্বারা আল্লাহ্ মানুষ সৃস্টি করেছেন, ৭ অঙ্গ দ্বারা সিজদা দিতে হয়, বাইতুল্লাহ্ শরিফ ৭ বার তাওয়াফ করতে হয়, ৭ বার সা‘য়ি করতে হয়, ৭ বার কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়, কুরআনের কিরাত ৭টি, ইউসুফ আলাইহিস সালাম জেলে ছিলেন ৭ বছর, কুকুর পাত্রে মুখ দিলে ৭ বার ধৌঁত করতে হয়, বংশীয় ৭ শ্রেনীর মহিলাকে বিবাহ করা হারাম, হযরত মুসা আলাইহিস সালাম-এর লাঠি ছিলো ৭ গজ, আল্লাহ ৭ টি বস্তু দ্বারা কসম করেছেন এবং অধিকাংশ বিষয়ই আল্লাহ ৭-এর হিসেবে সৃস্টি করেছেন। তাই হযরত ইবনু আব্বাস বলেছেন, শেষ দশকের ৭ম তথা ২৭ রমাদ্বানই লাইলাতুল কদর। ৫৩
➥৫৩ - তাফসিরে ইবনে আব্বাস, পৃষ্ঠা- ৩৭৭
* ইমাম ফখরদ্দিন রাযি বর্ণনা করেন:
وقال ابي بن كعب و جماعة من الصحابة السابعة و عشرون
-“হযরত উবাই ইবনে কা‘ব ও সাহাবায়ে কিরামগণের এক দল জামা‘আতের মতে ২৭ রমাদ্বানই লাইলাতুল কদর।”৫৪
➥৫৪ - তাফসিরে কাবীর, ৩০/২৯৭
* আল্লামা মাহমুদ আলুসি বাগদাদি বলেন:
كان عمر و حذيفة و ناس من أصحاب رسول الله لا يشكون أنها ليلة سبع و عشرون
-“হযরত উমর, হযরত হুযাইফা এবং রাসুলুল্লাহর সাহাবায়ে কিরামগণের অধিকাংশই বলেন: নিঃসন্দেহে লাইলাতুল ক্বদর ২৭ রমাদ্বানে।” ৫৫
➥৫৫ - তাফসিরে রুহুল মা‘আনী: ৩০/১৯০
* আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী বর্ণনা করেন:
واكثر الاقوال انها السابعة لامارات واخبار تدل على ذلك احدها حديث ابن عباس رضى الله عنهما ان السورة ثلاثون كلمة قوله هى السابعة والعشرون منها ومنها ما قال ابن عباس ايضا ليلة القدر تسعة احرف وهو مذكور فى هذه السورة ثلاث مرات فتكون السابعة والعشرين
-অধিকাংশের অভিমতই হলো তা ২৭ রমাদ্বানে। এ ব্যাপারে অনেক নিদর্শন ও খবর (হাদিস) রয়েছে। তন্মধ্যে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনাটি হলো- (তিনি বলেন) সুরা ক্বদরে ৩০ টি কালিমা রয়েছে। আর ‘হিয়া’ কালিমাটি হলো ২৭তম শব্দ। তিনি আরো বলেন: আরবিতে ‘লাইলাতুল ক্বদর’ লিখতে ৯টি অক্ষর প্রয়োজন। আর তা এ সুরায় ৩বার এসেছে। (আর ৩ গুণ ৯ সমান ২৭) সুতরাং লাইলাতুল ক্বদর ২৭ রমাদ্বানেই। ৫৬
➥৫৬ - তাফসিরে রুহুল বায়ান: ৭/৪৮১
* ইমাম আ‘যম আবু হানিফা’র বক্তব্যও লাইলাতুল ক্বদর ২৭তম রমাদ্বান।
অতএব, আমরা এ রাতে খুবই গুরুত্বের সাথে আমল করব।
_____________
লাইলাতুল ক্বদর : ফযিলত ও আমল
গ্রন্থনা ও সংকলন: মুফতি মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন আন-নাজিরী
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন