মুজতাহিদের জন্যে নিজ ইজতেহাদ


কোনো মুজতাহিদের জন্যে নিজ ইজতেহাদ দ্বারা বের করা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমল করা ফরয, যদিও তা তাঁর চেয়েও উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন মুজতাহিদের ইজতেহাদের পরিপন্থী হয়। অন্য কারো ইজতেহাদ অনুসরণ করা তাঁর জন্যে অনুমতিপ্রাপ্ত নয়। ইমামুল আযম হযরত আবু হানিফা  (رحمة الله)-এর শিষ্য ইমাম আবু ইউসুফ  (رحمة الله) ও ইমাম মুহাম্মদ শায়বানি (رضي الله عنه) এবং ইমাম মুহাম্মদ শাফেয়ী  (رحمة الله)-এর শিষ্য ইমাম আবু সাওর  (رحمة الله) ও ইমাম ইসমাইল মুযানী  (رحمة الله) বহু ক্ষেত্রে নিজেদের ওস্তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন; কয়েকটি বিষয়ে তাঁদের ওস্তাদবৃন্দ যেখানে বলেছিলেন “হারাম” (নিষিদ্ধ), সেখানে তাঁরা বলেছেন “হালাল” (অনুমতিপ্রাপ্ত, বৈধ); আর যেখানে তাঁদের ওস্তাদবৃন্দ বলেছিলেন “হালাল”, সেখানে তাঁরা “হারাম” বলেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদেরকে পাপিষ্ঠ কিংবা বদ আখ্যা দেয়া চলে না। কেউই তা বলেননি, কেননা তাঁরাও তাঁদের ওস্তাদদের মতোই মুজতাহিদ ছিলেন।



এটা সত্য যে হযরত মু’য়াবিয়া (رضي الله عنه) ও হযরত আমর ইবনে আস্ (رضي الله عنه) হতে হযরত আলী (رضي الله عنه) অনেক উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন ও শিক্ষিত ছিলেন। তাঁর বহু মাহাত্ম্য ছিল যা তাঁকে ওই দু জন হতে পৃথক করেছিল, আর তাঁর ইজতেহাদও তাঁদের চেয়ে শক্তিশালী ও তীক্ষ্ণ ছিল। তবে যেহেতু প্রিয়নবী (ﷺ)-এর সকল সাহাবী-ই মুজতাহিদ ছিলেন, সেহেতু ওই দু জন সাহাবী (رضي الله عنه)-এর পক্ষে হযরত আলী (رضي الله عنه)-এর মতো এতো বড় একজন ধর্মীয় ইমামের ইজতেহাদ অনুসরণ করা অনুমতিপ্রাপ্ত ছিল না। তাঁদের নিজেদের ইজতেহাদকে অনুসরণ করাই তাঁদের জন্যে জরুরি ছিল।

_____________

কিতাবঃ ঈমান ও ইসলাম

মূল: মওলানা খালেদ আল-বাগদাদী  (رحمة الله)  

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন