ঈমানের ছয়টি মূলনীতি

 

২। ঈমানের ছয়টি মূলনীতির দ্বিতীয়টি হলো وَمَلَائِكَتِه – “খোদা তায়া’লার ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস।” ফেরেশতাবৃন্দ বস্তু নন, বরং লতিফ (বায়বীয়)। বস্তুর গ্যাসীয় স্তর হতেও অধিক বায়বীয় তাঁরা। তাঁরা নূরানী (জ্যোতির্ময়) এবং জীবিতও বটেন। তাঁদের আকল্ (বিচারবুদ্ধি) আছে। মানবের মধ্যে যে সব মন্দ আছে তা তাঁদের মধ্যে বিরাজ করে না। তাঁরা যে কোনো আকৃতি গ্রহণ করতে সক্ষম, গ্যাস যেমন তরল ও কঠিন আকৃতি গ্রহণ করতে পারে, ঠিক তেমনি ফেরেশতাবৃন্দও সুন্দর আকৃতিসমূহ গ্রহণ করতে পারেন। ফেরেশতামণ্ডলী মহান ব্যক্তিদের দেহত্যাগকারী রূহসমূহ নন। খ্রীষ্টানরা মনে করে থাকেন যে ফেরেশতাবৃন্দ বুঝি তা-ই। শক্তি ও ক্ষমতার সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে তাঁরা অ-বস্তুগত নন। কিছু প্রাচীন দার্শনিক তাঁদেরকে তা-ই ধারণা করেছিলেন। তাঁদের সবাইকে “মালাইকা” বলা হয়ে থাকে। “মালাক” (ফেরেশতা) অর্থ “প্রতিনিধি,” “বার্তাবাহক” অথবা “শক্তি”। সকল জীবিত সৃষ্টির আগেই ফেরেশতাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছিল। সুতরাং পবিত্র কেতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাসের আগে ফেরেশতাবৃন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্যে আমরা আদিষ্ট হয়েছি, যে কেতাবসমূহ নবী (عليه السلام)-বৃন্দের আগে এসেছে (ঈমানের বাক্য বা বর্ণনায়)। আর কুরআন মজীদে এ সব বিশ্বাসের নামগুলো এই ক্রমানুসারেই বিবৃত হয়েছে।

_____________

কিতাবঃ ঈমান ও ইসলাম

মূল: মওলানা খালেদ আল-বাগদাদী  (رحمة الله)  

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন