একে অপরকে হাদিয়া বা উপঢৌকন বিনিময় করলে মহব্বত সৃষ্টি হয়। মনের কলুষতা দূরীভূত করে। বিশেষত নারীরা সামান্য উপহার পেলেও অতি আনন্দিত হয়। পরিবারে সুখ-শান্তি অটুট রাখার উদ্দেশ্যে মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে হাদিয়া বা উপহার দেওয়া স্বামীর উচিত। পুরুষরা প্রায় দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করে। এ সময় স্ত্রীর পছন্দনীয় কোন বস্তু স্বল্প মূল্য হলেও যদি স্ত্রীর জন্য কিনে আনে তাতে স্ত্রীর খুশীর সীমা থাকে না। এর দ্বারা স্ত্রী থেকে কোন বাড়তি কাজ আদায় করতে চাইলে স্ত্রীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে তা করতে প্রস্তুত থাকে। কারণ এর মাধ্যমে স্ত্রী বুঝতে পারে যে, স্বামী তাকে খুবই পছন্দ করে। সফরে গিয়েও আমার কথা ভুলেনি। নারীরা এটাকে খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে এবং আত্মতৃপ্তি বোধ করে।আর স্ত্রীরও উচিত স্বামীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। ফলে আরেক সময় স্ত্রীর জন্য হাদিয়া নিতে উৎসাহী হবেন। হযরত হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন
-مَنْ لَمْ يَشْكُرِ النَّاسَ لَمْ يَشْكُرِ اللَّهَ
যে মানুষের কৃতজ্ঞতাপ্রকাশ করে না সে আল্লাহরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।১৭৭
১৭৭.আহমদ, তিরমিযী, সূত্র. মিশকাত; পৃ. ২৬১
হাদিয়া বিনিময় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন- تَهَادَوْا فَإِنَّ الهَدِيَّةَ تُذْهِبُ الضغاءن
তোমরা পরষ্পর উপহার বিনিময় কর, কেননা, উপহার হিংসা-বিদ্ধেষ দূর করে।১৭৮
১৭৮.ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী’র (২৭৯হি.) তিরমিযী, সূত্র. মিশকাত; পৃ. ২৬১
হযরত আবু হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেন-
تَهَادَوْا فَإِنَّ الهَدِيَّةَ تُذْهِبُ وَحَرَ الصَّدْرِ، وَلَا تَحْقِرَنَّ جَارَةٌ لِجَارَتِهَا وَلَوْ شِقَّ فِرْسِنِ شَاةٍ
তোমরা একে অপরকে হাদিয়া দিও। কেননা, হাদিয়া অন্তরের কলুষ দূর করে। এক প্রতিবেশীনী অপর প্রতিবেশীনীকে হাদিয়া দিতে যেন অবহেলা না করে এবং কেউ যেন হাদিয়া তুচ্ছ মনে না করে; যদিও এক টুকরা ভেড়ার ক্ষুরও হয়। ১৭৯
১৭৯.ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী র. (২৭৯হি.) তিরমিযী, সূত্র. মিশকাত; পৃ. ২৬১)
___________
কিতাব: নন্দিত নারী
লেখক: হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওসমান গণি
আরবি প্রভাষক, জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা, ষোলশহর, চট্টগ্রাম।
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন