ফেরেশতাদের একে অপরের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব আছে। শ্রেষ্ঠ ফেরেশতা হলেন চারজন। তাঁদের প্রথম জন হলেন হযরত “জীবরাইল আমীন” (عليه السلام)। তাঁর দায়িত্ব ছিল আম্বিয়া (عليه السلام)-দের কাছে ওহী পৌঁছানো এবং আদেশ নিষেধসমূহ অবহিত করানো। দ্বিতীয় জন হযরত “ইস্রাফিল” (عليه السلام), যিনি “সুর” নামক শিঙ্গায় শেষ ফুঁক দেবেন। তিনি দু বার ফুঁক দেবেন। প্রথম ফুঁকে আল্লাহ্ ছাড়া সকল প্রাণী-ই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন। দ্বিতীয় ফুঁকে সকলেই প্রাণ ফিরে পাবেন। তৃতীয় ফেরেশতা হলেন হযরত “মিকাইল” (عليه السلام)। তাঁর কাজ হলো আধিক্য কিংবা অভাব দান করা এবং প্রত্যেক বস্তুকে স্থানান্তর করা। চতুর্থ জনের নাম হযরত ”আযরাইল” (عليه السلام)। তিনি রূহ্ বা জান কবজ করেন। এই চারজনের পরে চারটি শ্রেণীর উচ্চ মকামের ফেরেশতামণ্ডলী বিরাজমান: “হামালাত আল আরশের” চারজন ফেরেশতা, যাঁরা পুনরুত্থানের সময় আটজন হবেন। “মুকাররাবুন” নামের ফেরেশতাবৃন্দ, যাঁরা খোদা তায়া'লার সান্নিধ্যে আছেন। এরপর শাস্তি প্রদানকারী ফেরেশতাদের নেতৃবৃন্দ, যাঁদের নাম “কারুবিয়ুন”, অতঃপর রহমতের ফেরেশতামণ্ডলী, যাঁদের নাম “রূহানীয়ুন”। এ সকল উচ্চ মকামের ফেরেশতা-ও নবী, ওলী ও পুণ্যবান মুসলমানবৃন্দ ছাড়া সকল মানব সন্তানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। সাধারণ কিংবা নিম্ন মকামের ফেরেশতাদের চেয়ে মুসলমানবৃন্দ অধিক উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন। আর সাধারণ ফেরেশতাবৃন্দ হলেন সাধারণ তথা পাপী, অবাধ্য মুসলমানদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
অবশ্য অবিশ্বাসী কাফেররা সকল সৃষ্টির চেয়ে নিকৃষ্ট। “সুর”–এর প্রথম আওয়াজে ’হামালাত্ আল্ আরশ্’ ও চারজন প্রধান ফেরেশতা ছাড়া বাকি সকল ফেরেশতা-ই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। এরপর তাঁরাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। দ্বিতীয় আওয়াজে সকল ফেরেশতা-ই জীবন ফিরে পাবেন। “সুর”–এর দ্বিতীয় আওয়াজটির অল্প আগেই ’হামালাত্ আল্ আরশ্’ ও চারজন প্রধান ফেরেশতা উত্থিত হবেন। এরপর সকল প্রাণীর বিলুপ্তি হলে এ সকল ফেরেশতাও নিশ্চিহৃ হয়ে যাবেন, যেহেতু তাঁদেরকে সবার আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
_____________
কিতাবঃ ঈমান ও ইসলাম
মূল: মওলানা খালেদ আল-বাগদাদী (رحمة الله)
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন