সায়্যিদুনা আবূ হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর আক্বিদা
ওযূর পানি সাহাবায়ে কিরামগণ (رضي الله عنه)-এর শরীরে মালিশ করাঃ-
সায়্যিদুনা আবূ হুযায়ফা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন মক্কা মুর্কারমায় নবী করীম (ﷺ)’র খিদমতে আমি উপস্থিত হলাম। রাসূল আবতাই নামক একটি স্থানে লাল চামড়ার একটি তাঁবুতে তাশরীফ নিলেন।
فَخَرَجَ بِلَالٌ بِوَضُوئِهِ، فَمِنْ نَائِلٍ وَنَاضِحٍ
অতঃপর রাসূল (ﷺ) এর ওযূর ব্যবহৃত পানি নিয়ে হযরত বিলাল (رضي الله عنه) বের হলে সাহাবায়ে কিরামগণ (رضي الله عنه) পানিগুলো নিয়ে কারো শরিরে মালিশ করলেন, আবার কারো গায়ে ছিটিয়ে দিলেন। ২৮২
{২৮২. সহীহ মুসলিম শরীফ, ১ম খন্ড, পৃ. ১৯৫, নামাযের সুতরা অধ্যায়, ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ৩/২২৩ পৃ. হা/৫৪৯৭, মুসনাদে আবি ই‘য়ালা, ২/১৮৮ পৃ. হা/৮৮৭, সহীহ ইবনে হিব্বান, ৬/১৫৩ পৃ. হা/২৩৯৪, ইবনে আছির, জামেউল উসূল, ৫/২৯৪ পৃ. হা/৩৩৭৭}
আক্বিদা
রাসূল (ﷺ)’র প্রতি সাহাবায়ে কিরামগণের (رضي الله عنه) এতো বেশি ভালোবাসা এবং আক্বিদা ছিল যে, তাঁরা ওযূ মুবারকের অবশিষ্ট পানি কোন কোন সাহাবী (رضي الله عنه) নিজেদের শরীরে মালিশ করেছেন, আবার অপর কোন সাহাবী (رضي الله عنه) নিজের গায়ে ছিটিয়ে দিয়েছেন। অথচ সাহাবায়ে কিরামগণকে (رضي الله عنه) এমনটি করার জন্য রাসূল (ﷺ) আদেশ করেন নি।
এ থেকে বুঝা গেল প্রিয় নবী (ﷺ)’র উপর যাদের মহাব্বত আছে, তারা কোথায় লেখা আছে, কোথায় বলেছেন এসব প্রশ্ন এবং আপত্তি করেন না। তবে হ্যাঁ, যারা এই মূল্যবান সম্পদ থেকে বঞ্চিত তারাই এসব প্রশ্ন করেন এবং করবে।
____________________
আকাইদে সাহাবাহ
(সাহাবায়ে কিরামদের সাথে সুন্নি আক্বিদার সাদৃশ্য)
মূল:আল্লামা আবুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ
ক্বাদেরী আশরাফী (رحمة الله)
বঙ্গানুবাদ: মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন