🔴প্রশ্নঃ
উপরোক্ত লেখনী থেকে এটা উপলব্ধি করা যায় যে আল্লাহতায়া'লার চিরন্তন বাণী শোনা যায় না। যে ব্যক্তি বলেন, “আমি আল্লাহতায়া'লার বাণী শ্রবণ করেছি,” তিনি বোঝান “আমি উচ্চারিত শব্দ ও বাক্য শ্রবণ করেছি”, অথবা “আমি চিরন্তন কালামুন্ নাফসী এই সকল বাক্য দ্বারা উপলব্ধি করেছি।” সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এমন কী প্রত্যেক ব্যক্তি-ই এ দুইটির মধ্যে যে কোনো একটি পদ্ধতিতে কালামুন্ নাফসী শ্রবণ করতে সক্ষম। তাহলে হযরত মূসা (عليه السلام)-কে কালিমুল্লাহ্ (আল্লাহর সাথে কথোপকথনকারী) হিসেবে চিহ্নিত করার কারণ কী?
🖋উত্তরঃ
হযরত মূসা (عليه السلام) চিরন্তন বাণী শ্রবণ করেছিলেন কোনো অক্ষর কিংবা শব্দ ছাড়াই, আল-আদত্ আল-ইলাহিয়্যা তথা ঐশী রীতি-নীতি বা কার্যকারণ আইন হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি প্রক্রিয়ায়। তিনি এটা এমনভাবে শ্রবণ করেছিলেন যা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়, যেমনিভাবে বেহেশতে আল্লাহতায়া'লার দর্শন লাভ হবে ব্যাখ্যা ও উপলব্ধির অতীত। এ পদ্ধতিতে কেউই শ্রবণ করেননি। অথবা, তিনি শুধুমাত্র আল্লাহতায়া'লার বাণী শব্দ আকারে তাঁর কান মোবারক দ্বারা-ই শ্রবণ করেননি, বরং তাঁর দেহ মোবারকের সকল অণুকণা দ্বারা সকল দিক হতেই শ্রবণ করেছিলেন। অথবা তিনি গাছটির দিক হতেই কেবলমাত্র শ্রবণ করেছিলেন, শব্দ কিংবা বায়ুর প্রকম্পন কিংবা অন্য কোনো মাধ্যম ছাড়াই তিনি তা শুনেছিলেন। যেহেতু তিনি এ তিনটি পন্থার একটি পন্থায় তা শ্রবণ করেছিলেন, সেহেতু তাঁকে “কালিমুল্লাহ্” খেতাবটি দ্বারা মহাসম্মানিত করা হয়েছে। মে’রাজ রজনীতে হযরত রাসূলে আকরাম (ﷺ)-ও একই পন্থায় খোদায়ী বাণী শ্রবণ করেছিলেন। ওহী গ্রহণের সময় হযরত জিবরাইল আমীনের (عليه السلام) শ্রুতিও একই পন্থায় হয়েছিল।
_____________
কিতাবঃ ঈমান ও ইসলাম
মূল: মওলানা খালেদ আল-বাগদাদী (رحمة الله)
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন